৮ মে, ২০২৪, বুধবার

উড়তে প্রস্তুত বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক বিমান ‘অ্যালিস’

Advertisement

বিশ্বের প্রথম অল-ইলেকট্রিক বা সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক যাত্রীবাহী বিমান ‘অ্যালিস’ আকাশে ওড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রথম ফ্লাইট নিয়ে বিমানটি আকাশে উড়বে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির সিইও ওমের বার-ইয়োহে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলের আর্লিংটন মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দরে ইসরায়েলি কোম্পানি ইভিয়েশন নির্মিত এ বিমানটির ইঞ্জিন পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বৈদ্যুতিক যানে চড়ে আকাশ ভ্রমণের ওপর গুরুত্ব দিয়েই বিমানটি নির্মাণ করেছে ইসরায়েলি কোম্পানি ইভিয়েশন।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএন-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিমানটি নির্মাণকারী কোম্পানি ইভিয়েশন জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক গাড়ি বা সেল ফোনের মতো ব্যাটারি প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে বিমানটি। মাত্র ৩০ মিনিটের চার্জেই ৯জন যাত্রী নিয়ে এক ঘণ্টায় প্রায় ৪৪০ নটিক্যাল মাইল উড়তে সক্ষম অ্যালিস। বিমানটির সর্বোচ্চ ক্রুজ গতি ২৫০ কেটিএস বা ২৮৭ মাইল প্রতি ঘন্টা। অন্যদিকে, একটি বোয়িং ৭৩৭-এর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘন্টায় ৫৮৮ মাইল।

কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে ২০২২ সালের আগেই বৈদ্যুতিক বিমান অ্যালিসের প্রথম ফ্লাইটের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল ইভিয়েশন। কিন্তু বছরের শেষের দিকে উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের খারাপ আবহাওয়া পরিস্থিতি এই পরীক্ষাগুলোয় বাধা দেওয়ায় প্রথম ফ্লাইটের প্রস্তুতি পিছিয়ে যায়। ইভিয়েশন বিমানটির তিনটি প্রোটোটাইপ সংস্করণ তৈরি করেছে। এরমধ্যে একটি ‘কমিউটার’ বা যাত্রীবাহী বিমান, দ্বিতীয়টি ‘এক্সিকিউটিভ ভার্সন’ বা নির্বাহী সংস্করণ এবং তৃতীয়টি পণ্য পরিবহনের জন্য ‘কার্গো ভার্সন’। যাত্রীবাহী বিমানটিতে দুইজন পাইলট সহ নয়জন যাত্রীর আসন এবং ৮৫০ পাউন্ড পর্যন্ত মালামাল রাখার জায়গা রয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালেই বিমানটির প্রোটোটাইপ বানিয়েছে ইভিয়েশন। গত ডিসেম্বর থেকে কম-গতির ট্যাক্সি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এটি। তবে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি উচ্চ-গতির ট্যাক্সি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। এই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে বিমানটির নিজস্ব শক্তি ও সক্ষমতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।

ইভিয়েশনের সিইও বার-ইয়োহে বলেন, “সত্যিই ধীরে ধীরে যাতায়াতের সাধারণ মাধ্যমগুলোর সঙ্গে বিমান চলাচলের ব্যাপারটিও একীভূত হয়ে যাচ্ছে। ভ্রমণের ক্ষেত্রে এটি টেকসই ও অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর বলেই প্রমাণিত হবে। এটি আমাদের যাতায়াতের পথ বদলে দেবে। রেল লাইন ছাড়াই উচ্চগতির ট্রেনের সুবিধা আমরা আকাশপথে ভোগ করবো।”

বৈদ্যুতিক বিমান বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অদূর ভবিষ্যতে অ্যালিসের মতো বৈদ্যুতিক বিমানগুলো যাত্রাপথের আরো পাঁচটি সাধারণ উপায়ের মতোই হয়ে উঠবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement