২ মে, ২০২৪, বৃহস্পতিবার

‘মহসিনের আত্মহত্যার লাইভে যারা দেখেছিলেন তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে’

Advertisement

চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর, ব্যবসায়ী আবু মহসিন খানের আত্মহত্যার ভিডিওটি ফেসবুক লাইভে যারা দেখেছিলেন তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে সিআইডি। বুধবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে দোষারোপের জন্য নয়, মূলত তাদের সচেতন করতেই চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। যেন ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হলে সিআইডি বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে পারেন। মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে আবু মহসিন খানের আত্মহত্যার প্রসঙ্গ টেনে সিআইডি প্রধান এসব কথা বলেন।

সিআইডি প্রধান বলেন, মহসিন খান যখন লাইভ শুরু করেছিলেন তখন কারা কারা লাইভ দেখছিলেন, আমরা সাইবার পুলিশ থেকে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি। তবে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্য কাউকে দোষারোপ নয়, তাদের সচেতন করা। যাতে ভবিষ্যতে তারা সচেতন হয়ে আমাদের জানাতে পারেন।

ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, কেন এ লাইভের ঘটনা সিআইডি জানতে পারলো না? সিআইডির সাইবার পুলিশ অফিসারদের নিয়ে আমি বসলাম। আমার দায়িত্ব কি নেই? আমি কি পারতাম না এটি প্রতিরোধ করতে? এ বিষয়ে কেউ আমাকে দোষারোপ করেনি। আমি নিজে দেখে নিজেকেই দোষারোপ করেছি। এরপর বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকের সিঙ্গাপুর কেন্দ্রিক অফিসে জানতে চাইলাম। ফেসবুক আমাদের জানালো, লাইভের প্রথমে মহসিন খানের কথা স্বাভাবিক ছিল। তিনি আত্মহত্যা করবেন এমনটা তাদের মনে হয়নি।

তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর ফেসবুকের অফিস থেকে আমাদের জানালো, উনি সাড়ে ১৬ মিনিটের বেশি লাইভে ছিলেন। কিন্তু প্রথম দিকে তিনি যেভাবে কথা বলছিলেন তারা (ফেসবুক) বুঝতে পারেনি মহসিন খান আত্মহত্যা করবেন। প্রথমে তিনি পরিবার, ব্যক্তিগত জীবন, ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। ফলে ফেসবুক আত্মহত্যার বিষয়টি বুঝতে পারেনি। লাইভের শেষের আড়াই মিনিট আগে ফেসবুক বুঝতে পারে মহসিন খান আত্মহত্যা করবেন। ফেসবুককে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেন তারা আত্মহত্যা রোধে ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে কাজ করে।

আত্মহত্যা রোধে সিআইডি কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এর প্রসার ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করবে বলেও জানান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান। সেমিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নেজাম উদ্দিন আহমেদ, ফিজিশিয়ান, কাউন্সিলর এবং সাইকোথেরাপি প্রাকটিশনার ফোনিক্স ওয়েলনেস সেন্টারের প্রফেসর ডা. সানজিদা শাহরিয়া, ড. আহসান উদ্দীন আহমদ, ইশরাত জাহান বিথী, অরুপ দাস, তারেক মিয়াজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement