২৬ এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার

জিভে জল আনে মালদ্বীপের সি-ফুড, ঐতিহ্যের খাবারও লোভনীয়

Advertisement

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি মালদ্বীপ। সাগরকন্যা মালদ্বীপ সামুদ্রিক সম্পক আর নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে ভরপুর। চারপাশে সাগর বেষ্টিত থাকায় মালদ্বীপের খাবারে সামুদ্রিক মাছ বা সি ফুড এবং নারিকেলের আধিক্য থাকে।

নামী রেস্টুরেন্ট থেকে স্ট্রিট ফুড-সবখানেই জিভে জল আনার মতো খাবারে সাজানো থাকে হরেক পদের ডিশ। লবস্টার আর টুনা মাছের জন্য বিখ্যাত মালদ্বীপ। ভ্রমণে গেলে সেই সি ফুডের স্বাদ অনেক দিন মনে রাখেন পর্যটকরা।

দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের বেশিরভাগ খাবারে থাকে নারিকেলের ছোঁয়া। বিশেষ করে দেশটির যেকোনো খাবারেই ব্যবহার করা হয় নারিকেলের দুধ কিংবা তেল। সে কারণে খাবারের বিশেষত্ব রয়েছে। মালদ্বীপের সি ফুড ছাড়াও ঐতিহ্যবাহী কয়েকটি খাবার এখানে তুলে ধরা হলো। কখেনো গেলে চেখে দেখতে ভুলবেন না।

গারুধিয়া

মালদ্বীপের মানুষজনের কাছে পছন্দের খাবার হলো গারুধিয়া। ফ্র্যাগ্র্যান্ট মাছের স্যুপ হিসেবেও অভিহিত করা হয় একে। খাবারটি পানি, ফ্র্যাগ্র্যান্ট মাছ ও লবণ দিয়ে রান্না করা হয়। তবে মাঝেমধ্যে লেবু, চাল, কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ দিয়েও রান্না করা হয়। রেস্তোরাঁর পাশাপাশি ঘরে গারুধিয়া তৈরি করা হয়।মালদ্বীপ খাবার

মাস হুনি

মালদ্বীপের অন্যতম মজাদার খাবারের নাম মাস হুনি। দেখতে প্রায় বিরিয়ানির মতো। সকালের নাশতায় খাবারটি খেয়ে থাকেন এখানকার মানুষজন। অনেকে এর সঙ্গে নারিকেল, লেবু এবং পেঁয়াজও খান। আবার অনেকে রোশি নামে মালদ্বীপের এক ধরনের রুটির সঙ্গে মাস হুনি খেয়ে থাকেন।

বিস কিমিয়া

অনেকটা সামুচা ও স্প্রিং রোলের মতো দেখতে বিস কিমিয়া মালদ্বীপের মানুষের প্রিয় খাবার। এর ভেতরে ডিম, পেঁয়াজ ও ক্যাবেজ থাকে। বিস কিমিয়া দেশটিতে প্রসিদ্ধ। ভোজনরসিক মানুষও খাবারটি খেতে ভালোবাসেন। বিকেলের নাশতা হিসেবে অনেককেই খেতে দেখা যায়।

বোশি মাশুনি

সালাদের মতো খাবার বোশি মাশুনি। পাওয়া যায় মালদ্বীপের বিভিন্ন হোটেলে। সবজি, হলুদ ও জিরা দিয়ে রান্না করা হয়। কলা ফুল (থোড়) এবং নারিকেলে খাবারটি পরিবেশন করার রেওয়াজ আছে দেশটিতে। দুপুর কিংবা রাতের খাবার হিসেবে বেশিরভাগ লোক বোশি মাশুনি খান।

ফ্রাইড ইয়ামস

মালদ্বীপের জনপ্রিয় খাবার ফ্রাইড ইয়ামস। বাইরে থেকে দেখলে মচমচে মনে হয়। কিন্তু ভেতরটা পুরোপুরি ভেজা। বিকেলের নাশতা হিসেবে বেশিরভাগ মানুষ খান। খাবারটি শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাছাড়া দেশটিতে আসা অতিথিদের পরিবেশনের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয় ফ্রাইড ইয়ামস।

মালদ্বীপের কাঁকড়া

মালদ্বীপের কাঁকড়া খেতে সুস্বাদু। অনেকে কেবল ভিন্ন স্বাদের এ কাঁকড়া খাওয়ার জন্য মালদ্বীপ ভ্রমণ করেন। প্রায় সব রেস্তোরাঁয় এটি সহজলভ্য। তার অন্যতম অননতারা ধিগুর ফায়ার সল্ট, নিয়ামার রেস্টুরেন্ট এডজ, ইথা উন্দ্রিসা রেস্টুরেন্ট।

সাগু বোন্দিবাই

যারা ডায়েট করেন তাদের জন্য রয়েছে সাগু বোন্দিবাই। নারিকেলের দুধ ও কনডেন্সড মিল্কের মিশ্রণে তৈরি হয়। এলাচ দিয়ে খেলে আলাদা মজা পাওয়া যায়। সব বয়সের মানুষ এ খাবার খেতে ভালোবাসেন।

রিফ ফিশ কাটলেট

মালদ্বীপের জনপ্রিয় মাছের নাম রিফ। দেশটির মানুষের কাছে পছন্দের মাছ এটি। সে অনুযায়ী এ মাছ দিয়ে তৈরি কাটলেটও সমান জনপ্রিয়। কাটলেটের সঙ্গে চাটনি বা শসা খেতেও প্রায় সব বয়সের মানুষ ভালোবাসেন।

গুলহা

বিকেলের নাশতা হিসেবে অধিকাংশ মালদ্বীপবাসী গুলহা খান। এর স্বাদ অনেকটা চা-কফির মতো। টুনা ফিশ, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও নারিকেল দিয়ে গুলহা তৈরি হয়। শিশু-কিশোরদের কাছে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়।

আলুভি বোয়াকিবা

আলুভি বোয়াকিবা মিষ্টি জাতীয় খাবার। মূলত এটি এক ধরনের কেক। কাসাভা এবং নারিকেল দিয়ে কেকটি তৈরি করা হয়। স্থানীয় জনসাধারণ এবং পর্যটকদের কাছে এটি অনেক পছন্দের খাবার।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement