রংপুরের পীরগঞ্জে মেয়ের জামাইকে ঘরে আটকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুরের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় জামাই রুমান আহমেদ থানায় অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর থেকে রুমানের স্ত্রী সুমি বেগম তার একমাত্র ছোট শিশু ছেলেকে স্বামীর বাড়িতে রেখে বাবার বাড়িতে পালিয়ে এসেছেন। উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, পীরগঞ্জের পাঁচগাছি ইউনিয়নের এনায়েতপুরের আবুল কাশেম মিয়ার মেয়ে সুমি বেগম। তার সঙ্গে প্রায় চার বছর আগে পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার মহেশপুরের আশরাফ আলীর ছেলে রুমান আহমেদের বিয়ে হয়। ওই সংসারে তিন বছরের এক ছেলেসন্তান রয়েছে।
শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে এক সংসারে থাকা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে সুমির মনোমালিন্য হয়। পরে স্বামীকে না বলেই সুমি বাবার বাড়িতে চলে যান। তাকে আনতে গেলে ঘরে আটকে রেখে রুমনের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। তার পরও রুমান সুমিকে নিয়ে বাড়িতে যান। গত শুক্রবার দুপুরে সুমি তার শিশুসন্তানকে রেখে বাবার বাড়িতে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় রুমান পীরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন।
রুমান বলেন, আমি আমার বাবা-মাকে নিয়ে এক সংসারে থাকতে চাই। কিন্তু আমার স্ত্রী রাজি নয়। এ নিয়েই আমাদের মনোমালিন্য হলে সে না বলেই বাবার বাড়িতে যায়। পরে তাকে আনতে গেলে শ্বশুরসহ কয়েকজন আমাকে ঘরে আটকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। এর পরও আমি স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে এলে সে শিশু ছেলেকে রেখে পালিয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।
সুমি বলেন, নির্যাতন করে ওরা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় আমি শিশু ছেলেকে রেখে বাবার বাড়িতে চলে এসেছি। আর আমরা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিইনি। আমরাও আদালতে মামলা করেছি।
ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। বিট পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।