২৭ এপ্রিল, ২০২৪, শনিবার

রমজানে কালোবাজারি এবং নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টি অত্যন্ত গর্হিত কাজ: প্রধানমন্ত্রী

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে খাদ্যে ভেজাল, মজুদদারি, কালোবাজারি এবং নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এসবের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “খাদ্যে ভেজাল দেয়া, মজুদদারি বা কালোবাজারি এবং নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টি এটা যেন কেউ করতে না পারে সেজন্য সকলকে আমি সতর্ক থাকার জন্য আহবান জানাচ্ছি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে রমজান মাস। এ সময় আমাদের কিছু ব্যবসায়ী জিনিষের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। কারণ রমজান মাস কৃচ্ছতা সাধনের সময় এবং মানুষ যাতে ভালভাবে তাদের ধর্মকর্ম এবং রোজা যথাযথভাবে পালন করতে পারেন সেদিকেই সবার দৃষ্টি দেওয়া উচিত। জিনিষের দাম বাড়ানো আর মানুষকে বিপদে ফেলার কোন মানে হয়না।

শেখ হাসিনা বলেন, ইমামগণ যখন মসজিদে জুম্মার নামাজের খোৎবা দেন তখন কালোবাজারি বা মজুদদারি বা খাদ্যে ভেজাল দেওয়া আর অযথা মানুষকে কষ্ট দেওয়া যে গর্হিত কাজ সে ব্যাপারে মানুষকে আপনাদের আরও বলা উচিত। খোৎবাতেও এটা বলতে পারেন বা মানুষকে সচেতন করতে পারেন।

তিনি বলেন, সেভাবেই কাজ করতে আমি মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খাদেমগণকে অনুরোধ করবো। তাহলে মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত মুনাফা নেয়ার প্রবণতা নিশ্চয়ই কমবে।

নিন্ম আয়ের মানুষের ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকার পারিবারিক কার্ডের ব্যবস্থা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অধিক দামে চাল ক্রয় করে ৩০ টাকা মূল্যে বিভিন্ন পরিবারকে দিচ্ছি। রমজানকে সামনে রেখে আরও ১ কোটি মানুষকে ১৫ টাকা কেজি দরে আমরা চাল সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি এবং একেবারে কর্মক্ষমতাহীনদের বিনাপয়সায় ৩০ কেজি করে চালও দিয়ে যাচ্ছি। মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে।

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের কাজ সরকার যাতে আরো ভালভাবে এগিয়ে নিতে পারে সেজন্য সকলের কাছে দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীণ থাকবে না। তাঁর সরকার গৃহহীন-ভূমিহীনকে বিনামূল্যে ঘরবাড়ি এবং জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। কৃষিতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। শ্রমিকদের কল্যাণে নানামুখি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন এবং ১শ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলে কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করছে। 

বিদেশগামীদের জন্য প্রবাসিকল্যাণ ব্যাংকে বিনা জামানতে ব্যাংক ঋণেরও ব্যবস্থা করেছে। কেউ দালালের খপ্পরে পড়ে বিদেশে গিয়ে শেষে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরবে, এটা তাঁর সরকার চায়না বলেই সবধরণের ব্যবস্থা করে দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তৃতীয় ধাপে এসব মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন। এসময়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান।

এতে ভার্চুয়ালি বরিশালের আগৈলঝাড়া, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কমকর্তা, আলেম-ওলামা ও সাধারণ জনগণ সংযুক্ত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়। (বাসস)

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement