২৬ এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার

রাজধানীর ভেতরে কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রামগামী বাসের কাউন্টার রাখা যাবে না

Advertisement

রাজধানীর ভেতরে কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রামগামী বাসের কোনো কাউন্টার রাখা যাবে না। সেগুলো সায়েদাবাদ ও কাঁচপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে সরিয়ে নিতে হবে। আগামী ২ মে থেকে কুমিল্লা ও সিলেটগামী বাস এবং আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রামগামী বাস রাজধানীর ভেতরে কোনো কাউন্টারে রাখতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সমন্বয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় বাস মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বেশকিছু প্রস্তাবনা দেন। প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলো ব্যবহার উপযোগী হওয়ার পরই ঢাকা শহরের অভ্যন্তর থেকে বাস কাউন্টার বন্ধ করা এবং দক্ষিণাঞ্চলের যেসব বাসের রুট পারমিট বন্ধ রয়েছে; সেসব বাসের রুট পারমিট দেওয়া।

মালিক-শ্রমিক নেতাদের প্রস্তাবনার জবাবে মেয়র তাপস বলেন, যে শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থাপনা যত বেশি শৃঙ্খলিত, সে শহর তত বেশি বাসযোগ্য ও আধুনিক। আপনাদের যেসব প্রস্তাবনা রয়েছে, তা যদি পুরোপুরি বিবেচনা করা হয়, তাহলে বিষয়টা দাঁড়ায় ‘দিন শেষে তালগাছ আমার’। আমাদের অভ্যন্তরীণ বাস কাউন্টার বন্ধ করতেই হবে। টার্মিনালে ঢুকতেই হবে। না হলে গণপরিবহনের শৃঙ্খলা আসবে না।

মেয়র তাপস বিভিন্ন পর্যায়ের রূপরেখা তুলে ধরে বলেন, ১ এপ্রিলের পরিবর্তে ২ মে থেকে সিলেট ও কুমিল্লাগামী বাসের সব কাউন্টার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে স্থানান্তর করতে হবে। আর আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কাঁচপুরের আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ব্যবহার উপযোগী হয়ে যাবে। সেহেতু আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সেখানে চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লাসহ ওই এলাকার সব জেলার বাস কাউন্টার স্থানান্তর করতে হবে। ঢাকার অভ্যন্তরে তখন সেসব এলাকার আর কোনো কাউন্টার রাখা যাবে না।

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আসন্ন রমজানে জনগণের দুর্ভোগ যেন না হয়, সেটি গুরুত্ব দিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে। মেয়র বলেন, ঢাকা শহরের যানজট কমাতে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলো শহরের বাইরে নিতে কার্যক্রম শুরু করেছি। মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। টিওডির (ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট) মাধ্যমে যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করা হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, কাজী ফিরোজ রশীদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা ও মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম মেহেদী হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement