১৯ মে, ২০২৪, রবিবার

রাজস্ব কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকেই রিলিজ

Advertisement

কাস্টমস্ ও এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ মাদারীপুর সার্কেল অফিসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকেই স্ট্যান্ড রিলিজ করেছেন খুলনার ভ্যাট কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের কমিশনারের বরাত দিয়ে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, “গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে ১০ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফাঁস হয়। সেখানে দেখা যায়, কাস্টমস্ ও এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ মাদারীপুর সার্কেল অফিসের রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইমরান কবীর অফিস কক্ষে বসে ঘুষের টাকা গ্রহণ করছেন। 

এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। পরে ২ জানুয়ারী বিকেলে খুলনার ভ্যাট কমিশনের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে অভিযুক্তদের স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর সার্কেল অফিসকে পত্রটি দেয়া হলে তারা খুলনায় চলে যান। অভিযুক্ত দুই জনকেই খুলনা অফিসে সংযুক্ত করে অফিসিয়াল তদন্তও করবে ভ্যাট কমিশন।” তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন ও বিভাগীয় মামলা করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। 

ভূক্তভোগি শহিদুল ইসলাম লিখন বলেন, ‘৫০০ টাকার কয়েকটি নোট দেয়ার পরে তা গুণে পকেটে ভরেন রফিকুল ইসলাম। আর পাশে বসে ছিলেন ইমরান কবীর। দুই রাজস্ব কর্মকর্তা ঘুষের টাকার জন্যে দর-কষাকষি করেছেন। এমন কি চাহিদা মত প্রতি মাসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আরো দুই হাজার টাকা মাসোহারা চাইছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। পরে আমি ও আমার বন্ধু অমিত হোসেন গণমাধ্যমে বিয়ষটি জানিয়ে দেই। এতেও বিভিন্ন মহল থেকে আমাদের উপর চাপ এসেছে।’

লিখন আরো বলেন, ‘শুনেছি, তাদের বদলি হয়েছে। এতে তো দোষীর কোন বিচার হলো না। বরং মাদারীপুর জেলার ছেয়ে বড় জেলা খুলনায় বদলী হলো। সেখানে রেখে তাদের তদন্ত হলে প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই তাদের চাকুরী থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত করলে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হবো। স্ট্যান্ড রিলিজ কোন সমাধান হতে পারে না, দোষীরা বিচারের মুখোমুখি হোক, এটাই চাই।’

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement