২৬ এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার

লক্ষ্মীপুরে এবার সরিষা চাষে বিপ্লব 

Advertisement

সয়াল্যান্ড হিসেবে খ্যাত লক্ষ্মীপুরে এবার সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে। জেলার কৃষকরা এখন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। জেলার বিভিন্ন স্থানে মাঠের পর মাঠে এখন হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাবে, গত মৌসুমে জেলার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এবার সরিষার আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের চেয়ে দেড়গুণ।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে কমলনগর ও রায়পুরে। এ জেলার চাষীরা গতবছর ৭৫৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদ করেছেন। 

সদর উপজেলার ৩৫০ হেক্টর, কমলনগরের ১৮০ হেক্টর, রামগঞ্জে একশ হেক্টর, রামগতিতে ৯০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। 

জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সরিষার আবাদ বাড়াতে কৃষকদের সরকারিভাবে প্রণোদনা দেওয়া হবে। এর মধ্যে জেলার ৪ হাজার ৮০০ কৃষককে এক কেজি করে সরিষা বীজ, ড্যাপ সার ১০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি করে দেওয়া হচ্ছে। 

এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাও একশ কৃষককে এক কেজি করে সরিষার বীজ দিয়েছেন।

সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চর উভুতি গ্রামের কৃষকরা জানান, সরিষা লাভজনক ফসল। দুই মাসের মধ্যে থেকে ফলন পাওয়া। 

আমন ধান কাটার সাথে সাথেই তারা জমি চাষ দিয়ে বীজ বপন করেছেন। সরিষা উঠে গেলে ওই জমিতে সয়াবিন বা ডাল জাতীয় শষ্য আবাদ করতে পারবেন। তাই এ সময়টাতে অন্য ফসলের চেয়ে সরিষা চাষাবাদকে তারা উত্তম মনে করছেন। 

কৃষক সেলিম বলেন, “৬৫ শতাংশ জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকার মতো। লাভ হবে ১৫/২০ হাজার টাকারও বেশি “

সোহেল হোসেন নামের আরেক সরিষা চাষী জানান, তিনি ১ একর ৬০ শতাংশ জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। এতে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার টাকা। এবার চাষাবাদ অনেক ভালো হয়েছে তার। 

তবে চাষীরা সরিষা ভাঙানোর মেশিনসহ সরকারের কাছ থেকে বীজ, সার ও কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় কামনা করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, জেলায় এবার অন্যান্য মৌসুমের চেয়ে সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে মাঠের চাষীদের পরামর্শ এবং সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement