২৬ এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার

লাজিও ইন লাভ: বিয়ে করলেই ২০০০ ইউরো!

Advertisement

অভিনব এ উদ্যোগের জন্য ১০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল ঘোষণা করেছে লাজিও অঞ্চল কর্তৃপক্ষ। তহবিল যদি শেষ না হয়ে যায়, তাহলে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এই অর্থ সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারবেন বিবাহিত দম্পতিরা।

বিয়ের অনুষ্ঠান রোমে হোক বা কোনো প্রাসাদে কিংবা সমুদ্রসৈকতে, শুধুমাত্র বিয়ে করার পুরস্কারস্বরূপই নবদম্পতিদের ২০০০ ইউরো দিবে ইতালির লাজিও অঞ্চল কর্তৃপক্ষ! লাজিও অঞ্চলে বিয়ে করলেই আপনি পেয়ে যাবেন বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্থ বিবাহ খাতকে আগের গতিতে ফিরিয়ে আনার জন্যই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তারা।

‘ইন লাজিও উইথ লাভ’ নামের এই উদ্যোগটি সকল ইতালীয় ও বিদেশী নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারাই লাজিওতে বিয়ে করেছেন, তারা এই সুবিধা পাবেন।

সোমবার থেকে যুগলেরা সর্বোচ্চ ৫টি রিসিপ্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন গ্রহণ করা হলে তারা ২০০০ ডলার ফেরত পাবেন। লাজিওতে বিবাহসংক্রান্ত ব্যয়, ফটোগ্রাফার, ফুল, ক্যাটারিং সেবা, বিয়ের পোশাক মিলিয়ে যে খরচ তাদের হয়েছে, সেটি পুষিয়ে দেওয়া হবে এই টাকার মাধ্যমে।

অভিনব এ উদ্যোগের জন্য ১০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল ঘোষণা করেছে লাজিও অঞ্চল কর্তৃপক্ষ। তহবিল যদি শেষ না হয়ে যায়, তাহলে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এই অর্থ সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারবেন বিবাহিত দম্পতিরা।

লাজিওর প্রেসিডেন্ট নিকোলা জিংগারেত্তি বলেন, “মহামারিতে এই খাতটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তাই আমরা তাদেরকে সহায়তা করতে এই স্কিম চালু করেছি। এখানে বিনিয়োগের পাশাপাশি আমরা পর্যটন খাতের দিকেও নজর রাখছি। ইতালিতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর কিছু স্থান। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও সৌন্দর্য্যের জন্য আমরা গর্বিত। তাই বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা আমাদের আগের জৌলুস ফিরিয়ে আনতে চাই।”

মহামারি শুরু পর থেকে লাজিওতে এখনো পর্যন্ত ৯০০০ জুটি বিয়ে সেরেছেন; যেখানে ২০১৯ সালেও এ অঞ্চলের বিয়ের সংখ্যা ছিল ১৫,০০০।

রাজধানী থেকে শুরু করে মধ্যযুগীয় পাহাড়ি চূড়া এবং সিসেরো পার্কের সাথে সংযুক্ত সমুদ্রসৈকত- লাজিওর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য! এ অঞ্চলে যারা গাঁটছড়া বেধেছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো হলিউড তারকা টম ক্রুজ ও কেটি হোমসের বিয়ে, যদিও পরবর্তীতে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০০৬ সালে ওডেস্কালচি ক্যাসলে বিয়ে করেন তারা।

লাজিওর পর্যটন কাউন্সিলর ভ্যালেন্তিনা কোরাডো বলেন, “চলুন আবারও আমরা লাজিওর ঐতিহ্যবাহী সেই বিয়ের উত্তেজনাকে ফিরিয়ে আনি, যা গত দুই বছর মহামারির জন্য থেমে ছিল।” সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement