২৬ এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার

সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে গ্রাহক হয়রানি বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

Advertisement

সঞ্চয়পত্র বিক্রির ক্ষেত্রে গ্রাহকদের হয়রানি না করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। হয়রানি বন্ধ করতে ব্যাংকগুলোকে নয় দফা নির্দেশনাও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

(২০ জুলাই) বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

পরিচালক (ডিএমডি) খোন্দকার সিদ্দীকুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সার্কুলারে বলা হয়, যিনি সঞ্চয়পত্র কিনতে চান, তার আবেদন ইস্যু অফিস কর্তৃক গ্রহণের পর ওই তারিখ থেকে পরবর্তী এক কর্ম দিবসের মধ্যেই ক্রেতার দাখিল করা চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য উপস্থাপন করতে হবে। এছাড়া গ্রাহক কর্তৃক ডেবিট অথরিটির মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য আবেদন করা হলে গ্রাহকের হিসাব ডেবিট করার তারিখ এই গ্রাহকের অনুকূলের সংশ্লিষ্ট ইন্সট্রুমেন্ট ইস্যু করতে হবে।

জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বিক্রিত সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও মেয়াদপূর্তিতে আসল বা মূল অর্থ প্রদেয় হওয়ার তারিখেই ইন্টিমেশন প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাহকের সঞ্চয়পত্র ক্রয় পরবর্তী যেকোনো আবেদন (যেমন- নমিনি পরিবর্তন, হিসাব নম্বর পরিবর্তন, মোবাইল নম্বর পরিবর্তন, ইএফটি সংক্রান্ত সমস্যা ইত্যাদি) গ্রহণের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন জেলা বা ব্যুরো সঞ্চয় অফিস ও জাতীয় সঞ্চয় বিশেষ ব্যুরোর দায়িত্বপ্রাপ্ত লিংক ব্যাংক, অফিস অথবা ব্যুরোর গ্রাহকদের চেক যথাসময়ে ক্লিয়ারিং করে সংশ্লিষ্ট অফিসকে অবহিত করবে। এছাড়া সঞ্চয়পত্র কেনার নিমিত্তে ক্লিয়ারিংয়ের জন্য উপস্থাপিত চেক যথোপযুক্ত কারণ ছাড়া ফেরত দেওয়া যাবে না। এছাড়া গ্রাহকের অনুকূলে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) ইন্সট্রাকশনের মাধ্যমে পাঠানো সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও আসল বা মূল ফেরত দেওয়া যাবে না।

সঞ্চয়পত্র বিক্রয়কালে ইস্যুকারী ব্যাংক বা শাখা কর্তৃক ওই ব্যাংকে বা শাখায় গ্রাহককে হিসাব খোলার জন্য বাধ্য করা যাবে না। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে একজনের বা ব্যাংকের এক শাখার ইউজার আইডি অন্য ব্যক্তি বা অন্য শাখা কর্তৃক ব্যবহার করা যাবে না।

বাংলাদেশ অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজের মাধ্যমে সম্পাদিত লেনদেনের ওপর চার্জ আদায় সংক্রান্ত ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে জারি করা পিএসডি সার্কুলার নয়- ১/২০১৩-এর ৪ নং নির্দেশনা এবং বিভিন্ন সময়ে জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে বলেও সার্কুলারে বলা হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement