২৬ এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার

মানুষের মতো সর্দি-কাশিতে ভুগতো ডাইনোসরেরাও

Advertisement

ডাইনোসরেরা কীভাবে বিলুপ্ত হয়েছে তা নিয়ে বহু গবেষণা, বহু অনুসন্ধান। আর এর মধ্যেই বেরিয়ে এলো ডাইনোসরের অসুস্থতার খবরও। জানা গেল, মানুষের মতো তারাও সর্দি-কাশিতে ভুগতো।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের মতো সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হতো ডাইনোসররাও। বিজ্ঞানবিষয়ক পত্রিকা ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’-এ প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা। জানা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানায় প্রায় ১৫ কোটি বছর আগে জুরাসিক যুগের একটি ডাইনোসরের জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। লম্বা গলার, বিশালদেহী এই ডাইনোসরকে ডাকা হচ্ছে ‘ডলি’ নামে।

ডলি’র জীবাশ্ম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সামনে এসেছে এই তথ্য যে, সে জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টের মতো অসুস্থতায় ভুগতো। এরই জেরেই ডাইনোসরটির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ডলির জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডাইনোসরটি ছত্রাকের সংক্রমণেও ভুগছিল। এখনকার দিনে পাখি ও সরীসৃপের শরীরে এই সংক্রমণ দেখা যায়।

‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টসে’ প্রকাশিত গবেষণাপত্রের লেখকদের অন্যতম লরেন্স উইটমার বলেন, মানুষের শ্বসনতন্ত্রের সংক্রমণের ফলে মানবশরীরে যেসব উপসর্গ দেখা যায়, একই উপসর্গ ডলির শরীরেও দেখা দিয়েছিল। আরও জানা যাচ্ছে, ডাইনোসররা বাত, দাঁতের সমস্যা, হাড় ভাঙা, হাড়ে সংক্রমণ এমনকি হাড়ের ক্যান্সারের মতো শারীরিক জটিলতা থেকেও ভুগতো বলে প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ডলি ‘সরোপড’ গোত্রের ডাইনোসর। সরোপডরা তৃণভোজী ছিল। লম্বা গলা, বিশাল লেজ, ছোট মাথার এই ডাইনোসরগুলো সেই সময়কার পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় প্রাণি ছিল।

প্রসঙ্গত, বিজ্ঞানীরা এ-ও জানিয়েছেন, জীবাশ্মতে যেহেতু হাড়, দাঁত ও নখ ছাড়া নরম টিস্যু থাকে না তাই ডাইনোসরের রোগ সম্পর্কে তাদের এই ধারণার সপক্ষে তেমন জোরদার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সূত্র: দি ইনডিপেনডেন্ট ,জি-নিউজ

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement