১৯ মে, ২০২৪, রবিবার

সহযোগীদের পাহারায় দুই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে রিয়াদসহ ৬ জন

Advertisement

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুই গারো কিশোরীকে সহযোগীদের পাহারায় সোলায়মান হোসেন রিয়াদসহ (২২) তার ৬ সহযোগী ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগীদের মুখ না খুলতে প্রাণনাশের হুমকি দেয় অভিযুক্তরা।

এ ঘটনার পর হালুয়াঘাট থানায় ধর্ষণের শিকার এক ভিকটিমের বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার  র‍্যাব-১৪ এর একটি দল ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়াদকে গ্রেফতার করে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের কাটাবাড়ি এলাকায় গণধর্ষণের শিকার হয় স্কুল পড়ুয়া দুই গারো সম্প্রদায়ের কিশোরী। এ ঘটনায় গত ৩০ ডিসেম্বর এক ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৪ এর একটি দল আজ ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সোলায়মান হোসেন রিয়াদকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর সে একটি মালবাহী ট্রাকে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে পরবর্তীতে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ে আত্মগোপন করে।

 তিনি বলেন, ওই দুই কিশোরী তাদের সম্প্রদায়ের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। বিয়ের অনুষ্ঠানে রিয়াদসহ আরও তার ৯ সহযোগী অংশগ্রহণ করেন। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ওই দুই কিশোরী বাড়ি ফেরার সময় রিয়াদ ও তার সহযোগীরা তাদের অনুসরণ করতে থাকেন। রাত প্রায় ২টার দিকে ওই দুই কিশোরী বাড়ি ফেরার পথে রিয়াদ ও তার সহযোগীরা তাদের পথ আটকান। পরে ওই দুই গারো কিশোরীকে আটকিয়ে সহযোগীদের পথহারায় রিয়াদ ও তার ৬ সহযোগী মিলে তাদের গণধর্ষণ করেন।

র‍্যাবের ওই মুখপাত্র বলেন, রিয়াদ এলাকায় ১০-১৩ জনের একটি বখাটে দলের নেতৃত্ব দিত। সে এবং তার সহযোগীদের অত্যাচারে এলাকার স্কুল পড়ুয়া মেয়েরা অতিষ্ঠ। রিয়াদের নামে হালুয়াঘাট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মাদক চোরাচালান মামলাও চলমান রয়েছে। এর আগে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং তার কারাভোগও হয়। তার সহযোগী এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে এলাকায় মাদককারবারি এবং গ্রুপ ভিত্তিক বিভিন্ন চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।

এজাহারভুক্ত পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য র‌্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement