১৬ মে, ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ লিটনের

Advertisement

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯ মার্চ (বুধবার) ১৮ বলে ফিফটি করে প্রায় ১৬ বছর আগের রেকর্ড ভেঙে দেন লিটন দাস। ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মোহাম্মদ আশরাফুলের ২০ বলের ফিফটি এত দিন ছিল এই সংস্করণে বাংলাদেশের দ্রুততম পঞ্চাশ।

ফিফটির পরও দারুণ গতিতে ছুটতে থাকেন লিটন। বাংলাদেশের সেঞ্চুরি খরার অবসান মনে হচ্ছিল মাত্র সময়ের ব্যাপার। সেই ২০১৬ বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে তামিম ইকবালের ৬৩ বলে ১০৩ রানের ইনিংসটি ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কোনো সেঞ্চুরি নেই। তামিম সেদিন শতরান ছুঁয়েছিলেন ৬০ বলে। 

এদিন, লিটন এগিয়ে যাচ্ছিলেন আরও গতিতে। ১০ ওভার শেষে তার রান ছিল ৩৪ বলে ৭৯। একাদশ ওভারে হ্যারি টেক্টরের আঁটসাঁট বোলিংয়ে আসে ৪ রান। পরের ওভারের প্রথম ৫ বলে কোনো বাউন্ডারি দেননি লেগ স্পিনার বেন হোয়াইট। দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি লিটন। তার শরীরী ভাষায় ফুটে উঠছিল খানিকটা অস্থিরতা।  লিটন যে কোনো মূল্যে আক্রমণ করবেন বুঝেই হয়তো ওভারের শেষ বলটি স্টাম্পের বেশ বাইরে করেন হোয়াইট। টার্ন করে তা ওয়াইড হয়ে যাচ্ছিল প্রায়। লিটন সেটিই তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। তার ইনিংস থামে ৪১ বলে ৮৩ রানে।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সুযোগ হারানোর জন্য লিটনের কণ্ঠে ফুটে উঠল আক্ষেপ। তিনি বলেন, রেকর্ড নিয়ে তার কোনো ভাবনা কখনোই নেই। তবে সেঞ্চুরিতে যে তার চোখ ছিল, তা বলে দিলেন সরাসরিই। আক্ষেপ করলেন ওই সময়টায় আরেকটু সময় না নেওয়ার জন্য। 

তিনি বলেন, আমার মনে হয়, আমি একটু বেশি তাড়াহুড়ো করছিলাম। মাঝখানে আবার স্পিনাররাও খুব ভালো বল করছিল, উইকেটেও তাদের সাহায্য করছিল। আমি যদি আরেকটু সময় নিয়ে পেসারগুলো বল খেলতাম, তাহলে হয়তো আজকে ৮৩-৮৪ রানের জায়গায় ১০০ও হতে পারত। ঠিক আছে এটা।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement