২৭ এপ্রিল, ২০২৪, শনিবার

স্কুলে ভর্তির আবেদনের সময়সীমা আরও বাড়ছে

Advertisement

স্কুলে ভর্তির আবেদনের সময়সীমা আরও দুই থেকে তিন দিন বাড়ানো হচ্ছে। আসন সংখ্যার থেকে আবেদন সংখ্যা কম হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা গেছে। সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী (৬ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।

মাউশির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, আসন অনুপাতে ভর্তির আবেদনের সংখ্যা অনেক কম। সে কারণে অনলাইনে আবেদনের সময়সীমা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী (৬ ডিসেম্বর) আবেদনের সময় শেষ হবে। এদিন নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আরও দুই থেকে তিন দিন সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মাউশি থেকে জানা গেছে, গত (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন অনলাইনে শুরু হয়। আগামী মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়া যাবে। গতকাল (৩ ডিসেম্বর) শনিবার রাত পর্যন্ত সরকারি স্কুলে ৫ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৮টি আবেদন জমা হয়েছে। আর বেসরকারি স্কুলে ১ লাখ ৯২ হাজার ৬২১ আবেদন এসেছে।

জানা গেছে, এবার সারা দেশে ৫৫০টি সরকারি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত এক লাখ ৭ হাজার ৮৯টি শূন্য আসনে ছাত্রছাত্রী ভর্তি নেওয়া হবে। আর দুই হাজার ৮৫২টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি নেওয়া হবে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৬৬টি আসনে। সে অনুপাতে আবেদনের সংখ্যা অনেক কম। যে পরিমাণে আবেদন জমা হয়েছে তাতে সরকারি স্কুলে আসন পূর্ণ হলেও বেসরকারি বিদ্যালয়ের ৬০ শতাংশ আসন খালি থাকবে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, এবারও প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য একজন শিক্ষার্থীর বয়স ন্যূনতম ছয় বছরের বেশি হতে হবে। প্রথম শ্রেণিতে ছয় বছরের বেশি ধরে অন্যান্য শ্রেণিতে ভর্তির বয়স নির্ধারিত হবে। যেমন ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য একজন শিক্ষার্থীর বয়স প্রথম শ্রেণির বয়স হিসেবে আনতে হবে। তবে শিক্ষার্থীর বয়সের ঊর্ধ্বসীমা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে বলেও নীতিমালায় জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর ভর্তির সর্বোচ্চ বয়স নির্ধারণ করবে।

আবেদন প্রক্রিয়া শেষে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে শিক্ষার্থী। (১০ ডিসেম্বর) সরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তির লটারি হবে। আর বেসরকারি স্কুলগুলোর ভর্তির লটারি হবে (১৩ ডিসেম্বর)। ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তির সব কাজ শেষ করা হবে। মহানগর ও জেলা সদর উপজেলার বেসরকারি স্কুলগুলো কেন্দ্রীয় লটারির আওতায় আসবে। তবে যেসব বেসরকারি স্কুল কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত লটারিতে অংশ নেবে না তাদেরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত কমিটির মাধ্যমে লটারি করতে হবে।

আবেদন বিষয়ে মাউশির উপ-পরিচালক (বিদ্যালয়) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বলেন, এবার সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন স্বাভাবিক থাকলেও বেসরকারিতে ভর্তির জন্য তুলনামূলক কম আবেদন এসেছে। প্রতিদিন ৫-৭ হাজার আবেদন জমা হচ্ছে। করোনার কারণে অনেক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে।

অনেকে আবার স্কুল পরিবর্তন করতে আগ্রহী না হওয়ায় আবেদন সংখ্যা কমতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement