২৬ এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার

হজের খরচ বাড়ল ৫৯ হাজার টাকা

Advertisement

সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের খরচ ৫৯ হাজার টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য এ অর্থ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

ফলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের ন্যূনতম প্যাকেজের খরচ দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা আর সর্বোচ্চ প্যাকেজটির খরচ ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বনিম্ন প্যাকেজটিতে খরচ হবে ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, ‘প্যাকেজ ঘোষণার পর রাজকীয় সৌদি সরকার থেকে কোনো অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করা হলে তা প্যাকেজের মূল্য হিসেবে গণ্য করা হবে এবং হজযাত্রীকে তা পরিশোধ করতে হবে। এ শর্তে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল।’

‘সৌদি সরকারের বিলম্বের জন্য এবং সৌদি আরব থেকে প্রকৃত খরচের বিবরণী না পাওয়ায় সম্ভাব্য ব্যয় বিবেচনা করে প্রোভিশনাল হজ প্যাকেজ প্রস্তুত করা হয়েছিল। গত ২৫ মে সৌদি কর্তৃপক্ষ মিনায় অবস্থানস্থলের ভিত্তিতে চার ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে চার ধাপে ব্যয়ের বিবরণী নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন ব্যয়ের ধাপ ডি ও সি প্রকাশ করেছে। এ তথ্য অনুযায়ী মোয়াল্লেম ফি সি ধাপ অনুসারে ৮ হাজার ৬৪০ রিয়াল। ডি-তে ৭ হাজার ৪৯০ রিয়াল ঠিক করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এ তথ্য অনুযায়ী মোয়াল্লেম ফি সি-তে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৭ টাকা এবং ডি অনুসারে ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

‘উন্নতমানের বাস, ট্রেন সার্ভিস এবং বাড়িভাড়া থেকে উভয় প্যাকেজে অর্থ সাশ্রয় করা হয়েছে। উভয় প্যাকেজে সৌদি আরবে আবশ্যকীয় ব্যয় ৫৯ হাজার টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে আজ হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় ব্যয় বৃদ্ধি অনুমোদন করেছে।’

আগামী ৩০ মের মধ্যে এই টাকা হজে যেতে ইচ্ছুকদের জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এ টাকা গ্রহণের জন্য ২৮, ২৯ এবং ৩০ মে সময় নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এ লক্ষ্যে আগামী শনিবার দেশব্যাপী তফসিলি ব্যাংকগুলো খোলা রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়েছে।’

স্বাভাবিক সময়ে প্রতি বছর সারা বিশ্বের ২০ থেকে ২৫ লাখ মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পেয়ে থাকেন। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর সৌদি আরবের বাইরের কেউ হজ করার সুযোগ পাননি। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সৌদি সরকার এবার সারা বিশ্বের ১০ লাখ মানুষকে হজ পালনের অনুমতি দিচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে এ বছর সাড়ে ৫৭ হাজার মুসল্লি হজব্রত পালনে সৌদি আরবে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার মুসল্লি। বাকিরা যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। এর আগে গত ১১ মে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ প্যাকেজটি ছিল ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। সর্বনিম্নটি ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকার। পরের দিন হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে প্যাকেজ ঘোষণা করে। এতে হজ পালনে জনপ্রতি ন্যূনতম খরচ ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা।

এবার হজ হতে পারে ৮ জুলাই (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে)। সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৫৭ হাজার হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বাকি অর্ধেক করবে সৌদি রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস ও ফ্লাই নাস। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান এ বছর ৭৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইটের মাধ্যমে ৩১ হাজার যাত্রী বহন করবে। যাত্রী পরিবহনে গত বছরগুলোর মতোই বহরে থাকা বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement