১৮ মে, ২০২৪, শনিবার

হাঁপানি রোগীদের জন্য শীতকালে করনীয়ঃ

Advertisement

শীতকাল আসলেই ঠান্ডার কারণে নানা রকম রোগের দেখা মিলে। তাদের মধ্যে হাঁপানি অন্যতম। অন্য যে কোনো ঋতুর থেকে শীতে হাঁপানির সমস্যা বেশি বেড়ে যায়। তাই এ সময়টাতে হাঁপানি রোগীদের বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এ ঋতু পরিবর্তনের সময়টাতেই বিশেষজ্ঞরা হাঁপানি রোগীদের বেশি সাবধান থাকতে বলেন।

হাঁপানি কী-

হাঁপানি রোগীদের শ্বাসনালী সঙ্কুচিত হয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। সঙ্গে কাশিও হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে বুকে চাপ, ব্যথাও হতে পারে। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে আবার শ্বাস নেওয়ার সময় বিশেষ এক ধরনের আওয়াজও শোনা যায়। তবে এর মূল উপসর্গ শ্বাসকষ্ট যার কারণে ঘুমাতেও অসুবিধা হতে পারে।

হাঁপানি ধরন-

এক্সারসাইজ ইনডিউজড : অনেক ক্ষেত্রে ব্যায়াম বা ওয়ার্কআউট করার সময় হাঁপানির সমস্যা দেখা যায়।

অকুপেশনাল : কর্মক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো রাসায়নিকের সংস্পর্শে এলে সেখান থেকেও হাঁপানি হতে পারে। যেমন কোনো গ্যাস বা ধোঁয়া বা ধুলা।

অ্যালার্জি ইনডিউজড : পোলেন বা পরাগ, পোষা প্রাণীর লালারস, তেলাপোকার বর্জ্যে কিংবা বিশেষ জিনিস থেকে অ্যালার্জিও হাঁপানির কারণ হিসেবে ধরা হয়।

যাদের সতর্ক থাকা দরকার-

গবেষণা থেকে জানা যায়, পরিবারের সদস্যদের যেমন মা-বাবা, ভাই-বোনের হাঁপানি থাকলে আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। এ ছাড়াও এমন কোন ঘটনা যা ফুসফুসের বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে হাঁপানি দেখা দিতে পারে। এর বাহিরে অন্য কোনো অ্যালার্জী থাকলেও সচেতন হতে হবে। তবে হাঁপানির জন্য লাইফস্টাইলের দিকেও নজর দিতে হবে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে খাওয়া থেকে ঘুমানো পর্যন্ত হাঁপানির সমস্যা হতে পারে সে সব বিষয় থেকে দূরে থাকতে হবে।

যা করতে হবে-

চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী, হাঁপানি কখনোই পুরোপুরি ভালো হয় না। তবে কিছু জিনিস মেনে চললে অনেকাংশে সুস্থ জীবন কাটানো যায়। অর্থাৎ লাইফস্টাইলের ওপর অনেকটাই ভালো থাকা নির্ভর করে। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময় কিছু নিয়ম মানতেই হবে।

নিয়মগুলো হলো-

ঠান্ডা পানিতে বেশিক্ষণ কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

অন্যদের ঠান্ডার অনুভূতি না হলেও হাঁপানি রোগীদের আগাম সাবধানতা নিতে হবে।

চুল বেশিক্ষণ ভিজা রাখা যাবে না।

ঠান্ডা লাগানো যাবে না।

সকালে ও সন্ধ্যায় হাঁটতে বের হলে গলা ও নাক-মুখ ভালো করে ঢেকে বের হতে হবে।

শরীরে পানি শুকানো যাবে না।

ইনহেলার বা ওষুধ চললে ডাক্তারের সঙ্গে কথা না বলে তা বন্ধ করা যাবে না।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়া টিকা আবশ্য়ক।

সামান্য হাঁচি, নাক বন্ধ ও বুকে চাপের মতো সমস্য়া থাকলেই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

বেশি ঠান্ডা খাবার খাওয়া যাবে না।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement