১৯ মে, ২০২৪, রবিবার

বিচারপতি ও পুলিশের ওপর হামলার জন্য দেশে আসে মনির

Advertisement

বাংলাদেশে বড় ধরনের হামলার উদ্দেশে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেছিল মনির। তার প্রধান লক্ষ্য ছিল বিচারপতি ও পুলিশ। চলছিল হামলার প্রস্তুতিও। তবে হামলার আগ মুহূর্তেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

শনিবার (৫ মার্চ) রাতে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনির আব্দুর রাজ্জাককে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।

সিটিটিসি জানায়, কুমিল্লা লাকসামের বাসিন্দা মনির আব্দুর রাজ্জাক বাহরাইন প্রবাসী। অনলাইনে বিভিন্ন কন্টেন্ট দেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হন তিনি। জঙ্গি সংগঠন গাজওয়াতুল হিন্দে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের বিচারক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন।

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পরিবারের কাউকে না জানিয়ে দেশে আসেন মনির। হামলা চালিয়ে আবারও বাহরাইনে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। এজন্য বেশকিছু স্থানে রেকিও করেন সেলফ রেডিকালাইজড (স্ব মৌলবাদী) এই মনির।

রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।বিচারকের ওপর হামলার পরিকল্পনা

তিনি বলেন, কুমিল্লার লাকসামের বাসিন্দা মনির ২০০৭ সালে শ্রমিক হিসেবে বাহরাইনে যান। ২০১৮ সালে দেশে এসে আবার বাহরাইনে যান। সেখানেই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন রেডিকালাইজড কনটেন্ট দেখে নিজে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হন।

সেলফ রেডিকালাইজড মনির একপর্যায়ে জিহাদের প্রস্তুতি নেন। তারই অংশ হিসেবে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশে আসেন। পুলিশ ও বিচারকের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন তিনি। তাদের হত্যা করে দেশ স্বাধীন করার বিষয়ে ফেসবুকে পোস্টও দেন।

নিজে জিহাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি মনির অন্যকেও উদ্বুদ্ধ করতেন উল্লেখ করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তিনি গাজওয়াতুল হিন্দের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিতেন। বাহরাইনে তার পাকিস্তানি এক সহকর্মীর সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে পাকিস্তানি পরিচয় দিয়ে একটি আইডি খোলেন। সেটি দিয়ে নানা রকম সরকারবিরোধী, উস্কানিমূলক পোস্ট দিতেন মনির। তার ধারণা ছিল, যেহেতু তিনি বিদেশে থাকেন, তাকে কেউ ধরতে পারবে না।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, দেশে এসে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছদ্মবেশে বিভিন্ন জায়গা রেকি করছিলেন মনির। তার কিছু সহযোগীদের নাম আমরা পেয়েছি। তাদের গ্রেফতারে কাজ চলছে। গ্রেফতার মনিরের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement