১৮ মে, ২০২৪, শনিবার

২০২৩ সালে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশ মন্দার সম্মুখীন হবে জানালেন জর্জিয়েভা

Advertisement

চলতি বছরটি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য কঠিন হতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেছেন, ২০২৩ সালে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশ অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হবে।

আজ সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

বিবিসি জানায়, সিবিএস নিউজের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি বিশ্ব অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ মন্দার মধ্যে পড়বে, এমনকি যেসব দেশ মন্দায় পড়বে না তারাও আগত এই মন্দার প্রভাব অনুভব করবে।’

আইএমএফপ্রধান আরও বলেন, ২০২৩ গত বছরের তুলনায় আরও ‘কঠিন’ হবে।  কারণ হিসেবে তিনি গত বছরের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীনের ধীরগতির অর্থনীতির কথা উল্লেখ করেন।

ইউক্রেন যুদ্ধ, দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি, উচ্চ সুদের হার এবং চীনে কোভিডের বিস্তার বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সিডনির মুডিস অ্যানালিটিক্সের অর্থনীতিবিদ ক্যাটরিনা এল বিবিসিকে বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে তার মূল্যায়ন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যদিও আমরা পরের বছর মন্দা এড়ানোর সক্ষমতা রাখি। কিন্তু বড় ধরনের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। যেমন, ইউরোপ মন্দা এড়াতে পারবে না এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মন্দার প্রায় দ্বারপ্রান্তে।’

আইএমএফ ২০২২ সালের অক্টোবরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তাদের কার্যক্রম কমিয়ে দেয়, এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি উচ্চ সুদের হারের কারণে বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ক্রমবর্ধমান ব্যয়ে লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করে।

এদিকে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন শূন্য-কোভিড নীতি শিথিল করে তাদের অর্থনীতি পুনরায় সচল করতে শুরু করেছে। তবে এর ফলে দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার আরও দ্রুত বাড়ছে।

জর্জিয়েভা এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, ২০২৩ সালের শুরুতেই চীনের কঠিন বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর চীনের এ অবস্থা সামগ্রিকভাবে ওই অঞ্চলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং একইভাবে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement