১৯ মে, ২০২৪, রবিবার

৭০ হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো

Advertisement

কর্মী ছাঁটাইয়ে যেন প্রযোগিতায় নেমেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। ‘গুগল’ থেকে ‘অ্যামাজন’, ‘মাইক্রোসফট’ থেকে ‘টুইটার’ আমেরিকাসহ বিশ্ব জুড়ে  চলছে ছাঁটাই। 

পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর বিশ্বব্যাপী ৭০ হাজারেরও বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করেছে একাধিক বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। কিন্তু আমেরিকায় তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে এত মানুষের একসঙ্গে ছাঁটাই হওয়ার মধ্যে অন্য তাৎপর্য রয়েছে।

করোনা মহামারির পর ‘গুগল’-এর প্রধান সংস্থা ‘অ্যালফাবেট’ থেকে চাকরি হারাতে যাচ্ছে ১২ হাজার কর্মী। এ বিষয়ে ‘অ্যামাজন’ সবাইকে পিছনে ফেলেছে। প্রতিষ্ঠানটি এক ধাক্কায় ১৮ হাজার কর্মীকে বিদায় জানিয়েছে। ‘মেটা’ থেকে চাকরি হারাচ্ছে ১১ হাজার মানুষ, ‘টুইটার’-এ ৪ হাজার। এ ছাড়াও ‘নেটফ্লিক্স’, ‘টেসলা’, ‘রবিন হুড’, ‘কয়েনবেস’ বা ‘স্পটিফাই’-এর মতো অপেক্ষাকৃত ছোট সংস্থাতেও বহু মানুষ বেকার হয়েছেন। 

এছাড়া করোনা মহামারির পর থেকে আমেরিকায় এমন বহু মানুষ চাকরি ছেড়েছেন, যারা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ থেকে অফিসে ফিরতে চাইছেন না। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, মহামারি পর থেকে ব্যবসার একটি মৌলিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তা হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ক্রমাগত বেড়ে চলা। ‘মাইক্রোসফট’, ‘গুগল’-এর মতো সংস্থা যেখানে বিনিয়োগ ক্রমাগত বৃদ্ধি করছে। কিন্তু আগে বিজ্ঞাপন বা অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে যে বিপুল আয় এই সংস্থাগুলোর হত, তা কমতির পথে। স্বভাবতই কর্মী ছাঁটাই করে সেই অর্থ দিয়ে গবেষণার পথে হাঁটছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। আমেরিকার অর্থনীতিও এই মুহূর্তে খরচ কমানোর কথাই বলছে। কারণ করোনা উত্তর বিশ্বে সম্ভাব্য মন্দার কথা ভেবে উদ্বেগে আছে সবাই। এর ফলে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী ছাঁটাইয়ের মিশনে নেমেছে। 

আইফোনের নির্মাতারা ভবিষ্যৎ আঁচ করে আগে থেকেই কর্মী নিয়োগে বাঁধ দিয়েছিল। ফলে কর্মীর সংখ্যা কখনওই বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছায়নি।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement