২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

জিডি’র যাবতীয় (পর্ব ১)

Advertisement

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রয়েছে নানান রকমের সমস্যা। এর সমাধান পেতে আমরা অনেক সময় বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। প্রাত্যহিক,ব্যবসায়িকসহ বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে না জেনোই আমরা না ভুল পথে পরিচালিত হই। অথচ খুব সামান্য কিছু ধারনা থাকলে আমরা অনায়াসে এই সকল জটিলতা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি। একজন আইন বিশেষজ্ঞ আমাদের বিভিন্ন আইনি পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করবেন। যা আমাদের জীবণের জটিলতা দূর করতে সাহায্য করবে।

জিডি’র যাবতীয়

চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই বা হুমকির শিকার কিংবা যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য পুলিশের সহায়তা চেয়ে থানায় জিডি করা যেতে পারে। কেউ হারিয়ে অথবা পালিয়ে গেলেও থানায় জিডি করা দরকার। এছাড়াও অনেক সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টসহ অন্যান্য দরকারী নথি) হারিয়ে গেলে তা নতুন করে পেতেও থানায় জিডি করার প্রয়োজন পড়ে। মূলত,থানায় মামলাযোগ্য নয় এমন ঘটনা ঘটলে জিডি বা সাধারণ ডায়েরি করতে হয়। জিডি এর পূর্ণরুপ হলো General Dairy (জেনারেল ডায়েরি)। বাংলায় অর্থ সাধারণ ডায়েরি। এই সাধারণ ডায়েরির উপর ভিত্তি করেই পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। প্রয়োজন অনুসারে তদন্ত, এমনকি মামলাতেও রূপ নেয় সাধারণ ডায়েরি। তাই সাধারণ ডায়েরির গুরুত্ব অনস্বীকার্য। সাধারণ ডায়েরির কোন ফি নেই। এটি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি নিয়মিত রাষ্ট্রীয় নাগরিক সেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই সেবা প্রদান করা হয় ।

সাধারণ ডায়েরির মূলে প্রাপ্ত সেবাসমূহ :

  • যে কোন সমস্যায় পুলিশের সাহায্য পাওয়া যায় ।
  • নাগরিকের জান-মালের রক্ষা নিশ্চিৎ করা ।
  • কোন কাগজপত্র হারিয়ে গেলে এর কপি তুলতে জিডি করতে হয় ।
  •  কোন মালপত্র হারিয়ে গেলে জিডি করতে হয় ।
  • কেউ নিখোঁজ হলে জিডি করতে হয় ।
  • ভবিষ্যতে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করলে সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসনকে অগ্রীমভাবে জানিয়ে রাখা । 

জিডি করার ক্ষেত্রে ঘটনার স্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত যে এলাকায় কোনো জিনিস হারিয়ে যায় অথবা জীবন বা সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতির হুমকি আসে, ওই এলাকার নির্দিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর জিডি করা হয়। 

সাধারণ ডায়েরি/জিডি-এর মূলত দুইটি কপি হয়। তার একটিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সিলসহ জিডি নম্বরে স্বাক্ষর করেন উক্ত কপিটি থানায় নথিভুক্ত করা হয়।। এরপর জিডির একটি হুবুহু অনুলিপি ভুক্তভোগীকে সংরক্ষণের জন্য দেওয়া হয়। এরপর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিডির বিষয়বস্তু আমলে নিয়ে ঘটনার সত্যতা ও গুরুত্ব অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন।

জিডির একটি নমুনা নিম্নে দেয়া হলো ।

তারিখঃ ………………

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

………………..থানা, ঢাকা।

বিষয় : সাধারণ ডায়েরি ভুক্তির জন্য আবেদন।

জনাব,

আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী নাম:………………………………, বয়স: …………………………………………………

পিতা/স্বামী : ………………ঠিকানা : …………………………………………………….এই মর্মে জানাচ্ছি যে আজ/গত…………………….. তারিখ ……………. সময়…………….জায়গা থেকে আমার নিম্নবর্ণিত কাগজ/মালামাল হারিয়ে গেছে।

বর্ণনা : (যা যা হারিয়েছে)বিষয়টি থানায় অবগতির জন্য সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করার অনুরোধ করছি। 

বিনীত

নাম:

ঠিকানা:

মোবাইল নম্বর:

আগামী পর্বে থাকছে অনলাইনে জিডি করবার যাবতীয় তথ্য ।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement