২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

সেদিন যুদ্ধ করেছিলেন ফুটবল পায়ে

Advertisement

যুদ্ধ রক্তাক্ত বাংলা, পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর অমানবিক অত্যাচারে অতিষ্ট বাঙ্গালী রুখে দাঁড়ায় ১৯৭১ সালে। মুক্তিযোদ্ধারা যখন পাকিস্তানিদের আঘাতের পর আঘাত করছে তখন বাংলার ফুটবলাররা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতে ভারতের মাটিতে নেমে পড়েন প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে। তানভীর মাজহার তান্না আর জাকারিয়া পিন্টুদের নেতৃত্বে ৩৪ থেকে ৩৬ জনের একটি ফুটবল দল জনমত গঠন ও অর্থ সংগ্রহে মোট ১৬টি ম্যাচে অংশ নেয় সেসময় গঠিত স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল নামে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সশস্ত্র সংগ্রামেও ভূমিকা রাখেন। বিজয়ের এই দিনে জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ না করলে তাদের প্রতি অবিচার হবে তা নিশ্চিত। আজ বৃহস্পতিবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, স্বাধীনতার ৫০ বছর।

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের যে ম্যানেজার ছিলেন মাজহার তান্না, তিনি মুলত ক্রিকেটার ছিলেন। বিশ্বের ইতিহাসে যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলার ফুটবলাররাই একমাত্র দল যারা মুক্তি সংগ্রামে ফুটবর পায়ে যুদ্ধ করেছেন। জাকারিয়া পিন্টুর অধিনায়কত্বে এই দলটিতে ছিলেন ইতিহাসের নামকরা সব ফুটবলার। অমলেশ সেন, কাজী সালাহউদ্দিন, এনায়েতুর রহমান, নওশেরুজ্জামান নামগুলো আজও ভাস্বর আপন আলোয়। ইতিহাসের প্রথম স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন তারা। জনমত গঠন ও অর্থিক সহায়তার উদ্দেশ্যে গঠিত দলটি যুদ্ধের সময় ফুটবল খেলেছে পশ্চিম বাংলার আনাচে কানাচে। শুরুটা হয়েছিলো নদিয়ায়। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে গেয়ে উঠেছিলেন জাতীয় সঙ্গিত। জাকারিয়া পিন্টুর হাতেই শুরু, হাতে অস্ত্র না থাকলেও ফুটবলকেই তারা বানিয়েছিলেন দেশ মাতৃকার মুক্তির অস্ত্র। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরেছিলেন তারা, অথচ বাংলাদেশ তখনেও ‘দেশ’ হিসেবে স্বীকৃতিই পায়নি।

১৯৭১ সালের জুলাইয়ের সেই দিনটি ইতিহাসের উজ্জ্বল এক অধ্যায়। জাতীয় পতাকা উড়িয়ে, জাতীয় সংগীতের সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়ে ফুটবলাররা সেদিন পৃথিবীর ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ই রচনা করেছিলেন। যে দলটি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল নামের আলাদা একটি পরিচয় নিয়ে মহিমান্বিত হয়ে আছে ইতিহাসে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement