৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, মঙ্গলবার

রংপুর বিভাগে করোনায় সর্বোচ্চ ২১ মৃত্যু, শনাক্ত ৭৪৮

Advertisement

রংপুর বিভাগের আট জেলায় করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি বিভাগে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। একই সময়ে করোনা সংক্রমিত আরও ৭৪৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গত দশ দিনে বিভাগে করোনায় প্রাণ হারিয়েছে ১৩৪ জন মানুষ। রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু মো. জাকিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুর জেলার ৬ জন, দিনাজপুরের ৫ জন, গাইবান্ধার ৩ জন, কুড়িগ্রামের ২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ২ জন, লালমনিরহাটে ১ জন, নীলফামারীতে ১ জন ও পঞ্চগড় জেলার ১ জন রয়েছেন। 

একই সময়ে বিভাগে ২ হাজার ১৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের ১৫৭ জন, দিনাজপুরের ১০৯ জন, রংপুরের ১০৬ জন, পঞ্চগড়ের ৯৮ জন, কুড়িগ্রামের ৯০ জন, নীলফামারীর ৮৮ জন, গাইবান্ধার ৬৪ জন ও লালমনিরহাট জেলার ৩৬ জন রয়েছে। বিভাগে শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে শনিবার (১০ জুলাই) পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৭৫ হাজার ১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৩২ হাজার ৭১৬ জন শনাক্ত হয়েছেন।নতুন করে মারা যাওয়া ২১ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছ ৬৫৩ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলার ২২৩ জন, রংপুরের ১২৯ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ১১৭ জন, নীলফামারীর ৪৫ জন, লালমনিরহাটের ৪৩ জন, কুড়িগ্রামের ৩৪ জন, গাইবান্ধার ৩২ জন ও পঞ্চগড়ের ৩০ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪২৮ জন।

এছাড়াও নতুন শনাক্ত ৭৪৮ জনসহ বিভাগে ৩২ হাজার ৭১৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলায় ১০ হাজার ২৪৮ জন, রংপুরের ৭ হাজার ২০৩ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৪ হাজার ৫৭৯ জন, গাইবান্ধার ২ হাজার ৬৫৬ জন, নীলফামারীর ২ হাজার ৩৮৩ জন, কুড়িগ্রামের ২ হাজার ২৭২ জন, লালমনিরহাটের ১ হাজার ৮৩০ জন এবং পঞ্চগড়ের ১ হাজার ৫৪৫ জন রয়েছেন। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এছাড়া ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলোত বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যুও হার।

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার বিকল্প নেই।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement