২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

‘আইসিইউতে বেড ফাঁকা নেই’-স্বজনদের আকুতি

Advertisement

রংপুর বিভাগে কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেওয়া প্রয়োজন এমন রোগী। তবে বিভাগের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোয় কোনো আইসিইউ শয্যা খালি নেই। স্বজনরা আইসিইউ শয্যার জন্য ছোটাছুটি করেও না পেয়ে মৃত্যুর বিষয়টি ছেড়ে দিচ্ছে নিয়তির ওপর। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে রংপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সামনে ঝুঁলিয়ে দেওয়া হয় সাইনবোর্ড। তাতে লেখা হয়, ‘আইসিইউতে কোনো বেড ফাঁকা নাই।’

বর্তমানে ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ১০টি। তবে ভেন্টিলেটর সুবিধা আছে আটটিতে। এখানে ভর্তি ৮৩ রোগীর মধ্যে আরও ২০ জনকে আইসিইউতে নেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা রয়েছে মাত্র ২০টি। সব মিলিয়ে জেলায় আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৩০টি। গত বছরে নগরীতে নবনির্মিত ১০০ শয্যার শিশু হাসপাতালকে ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হয়। প্রথম ধাপে ১০টি আইসিইউ বেড ও ১০টি ভেন্টিলেটর দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে তা ৫০ বেডে উন্নীত করার কথা ছিল। কিন্ত পরবর্তী সময়ে আর আইসিইউ বেড বাড়ানো হয়নি।

রংপুর বিভাগের আট জেলায় দেড় কোটি মানুষের জন্য আইসিইউ বেড রয়েছে মাত্র ৪৬টি। এর মধ্যে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ১০টি, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ২০টি, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আছে ১৬টি আইসিইউ বেড। রংপুরে করোনা চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে গত বছরের এপ্রিলে ৫০টি আইসিইউ শয্যা স্থাপনের বরাদ্দ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে এক বছর পেরিয়ে গেলেও মাত্র ১০টি শয্যা রয়েছে সেখানে। মাঝে আরও ১০টি শয্যা বাড়ানোর কথা থাকলেও আর বাড়েনি।  

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু মোহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। অনেক রোগী হাসপাতালগুলোয় আসছেন। আইসিইউ বেডের সঙ্কটের কারণে কোথাও কোথাও চিকিৎসা দিতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা আইসিইউ বেড সংখ্যা বাড়ানোসহ করোনা রোগীদের চিকিৎসার সব সুযোগ-সুবিধার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’ এদিকে রংপুর বিভাগে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। বিভাগে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে তারপরে রংপুর ও তৃতীয় অবস্থানে ঠাকুরগাঁও।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক অফিস সূত্র বলছে, রংপুর বিভাগে করোনা সংক্রমণ মারাত্মক রূপ নিয়েছে এবং সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশ। শুক্রবার পর্যন্ত এ বিভাগে ৫৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্তের সংখ্যা ২৭ হাজার ১৬০।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement