মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো ঘোষণা করেছে যে, রাশিয়ার বিরোধিতা সত্ত্বেও কৃষ্ণসাগরে সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখবে তারা। মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ ককেশাস বিষয়ক ন্যাটোর বিশেষ প্রতিনিধি জেমস অ্যাপাথুরাই এ ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ক্রিমিয়া উপকূলে ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ার- ডিফেন্ডারের সঙ্গে রাশিয়া কী আচরণ করেছে তা ন্যাটোকে জানিয়েছে লন্ডন। এখন এই সামরিক জোটের সামনে ওই ঘটনা সম্পর্কে একটি ‘স্পষ্ট চিত্র’ রয়েছে বলেও তিনি জানান।
ন্যাটোর এই বিশেষ প্রতিনিধি বলেন, “কৃষ্ণসাগরে নিজের উপস্থিতি বজায় রাখতে ন্যাটো বদ্ধপরিকর এবং এই জোট ক্রিমিয়া উপত্যকাকে ইউক্রেনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে। এটি যে রাশিয়ার নয় সে ব্যাপারে ন্যাটো শক্ত অবস্থান নিয়েছে। রাশিয়াকে বিষয়টি ভালোভাবে উপলব্ধি করতে হবে।”
অ্যাপাথুরাই বলেন, নিজের মিত্র ও শরিকদের সমর্থন দেওয়ার জন্য কৃষ্ণসাগরে উপস্থিতি বজায় রাখবে ন্যাটো।
তিনি বলেন, “আমরা রাজনৈতিক পরামর্শ ও তথ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে ইউক্রেন ও জর্জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বজায় রাখব।”
গত ২৩ জুন ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ার ‘ডিফেন্ডার’ রাশিয়ার পানিসীমা অতিক্রম করে তিন কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে ক্রিমিয়া উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এ সময় রাশিয়ার কোস্ট গার্ডের দুইটি জাহাজ ও ২০টির বেশি জঙ্গিবিমান ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ারটির ওপর নজর রাখে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের একটি জাহাজ থেকে ডিফেন্ডারকে লক্ষ করে সতর্কতামূলক গুলি চালানো হয় এবং একটি জঙ্গিবিমান থেকে ডিফেন্ডারের চলার পথে বোমাবর্ষণ করা হয়। এর ফলে এটি তার গতিপথ পরিবর্তন করে রুশ পানিসীমা ছেড়ে চলে যায়। ন্যাটো দাবি করছে, ক্রিমিয়াকে তারা ইউক্রেনের অংশ মনে করে বলে এই প্রজাতন্ত্রের পানিসীমায় অনুপ্রবেশ করতে তাদের কোনও বাধা নেই।
এর আগে রাশিয়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিল, কৌশলগত কৃষ্ণ সাগরের পানিসীমায় আমেরিকা ও ব্রিটেন যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করছে। এভাবে শত্রুতামূলক তৎপরতা অব্যাহত রাখলে সামরিক উপায়সহ যেকোনও উপায় অবলম্বন করে রাশিয়া নিজের সীমানা রক্ষা করবে।