৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, মঙ্গলবার

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের তীব্র যানজটে ভোগান্তি ঘরমুখো মানুষের

Advertisement

ঈদে ঘরমুখো মানুষ ছাড়াও মহাসড়কে পশুবাহী ট্রাক বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। এর ফলে উত্তরের পথে যাওয়া এই মহাসড়কটিতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গভীর রাত থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় থেকে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা পর্যন্ত মহাসড়কের প্রায় ২২ কিলোমিটার এলাকায় সড়কে যানবাহন চলছে থেমে থেমে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব ও পশ্চিমে গাড়ি আটকা থাকায় শনিবার ভোরে দুইবার টোল আদায় বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। যার ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও চরমে পৌঁছায়।

করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে মহাসড়কও আগের ব্যস্ত চেহারায় ফিরে গেছে।

গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে বাস ছেড়ে যাওয়ার সময় স্বাস্থ্যবিধি মানতে অর্ধেক সিট খালি রাখা হচ্ছে। ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি থাকায় যাত্রীদের বাসের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে টার্মিনালে বা রাস্তায়৷

জানা গেছে, শুক্রবার রাত থেকেই ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কের ২২ কিলোমিটার অংশে থেমে থেমে যানজট রয়েছে। মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব, এলেঙ্গা, টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থেকে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা পর্যন্ত মহাসড়কের ২২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। এছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে সিরাজগঞ্জ রোড পর্যন্ত রয়েছে পরিবহনের চাপ। এসব সড়কে চলাচল করা গাড়িগুলোকে ধীরগতিতে চলতে দেখা গেছে।

এছাড়া সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে মহাসড়ক বর্ধিতকরণের কাজ চলমান থাকায় সেখানে সৃষ্টি হওয়া যানজট গিয়ে ঠেকেছে টাঙ্গাইল অংশে। এদিকে সেতুর দুই পাশে দীর্ঘ যানজট থাকায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে রাতে দুই ঘণ্টা এবং ভোরে পর পর দুইবার টোল আদায় বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী ও চালকরা।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, মহাসড়কে হঠাৎ করে পরিবহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া সিরাজগঞ্জ অংশে মহাসড়কের বর্ধিতকরণ কাজের কারণে সৃষ্টি হওয়া যানজট টাঙ্গাইল এসে থেমেছে। এতে পরিবহন সহজে সেতু পার হতে পারছে না। আবার সেতু কর্তৃপক্ষ দুইবার টোল আদায় বন্ধ রাখায় মহাসড়কে পরিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়। তবে মহাসড়ক সচল রাখতে ট্রাফিক পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement