‘আপনারা আপনাদের নিজস্ব উদ্ভাবন এবং ভিশন ঠিক করুন, নিজস্ব ধারণা অনুসন্ধান করুন, নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করুন, কাউকে নকল বা অনুকরণ করবেন না, উদ্ভাবন করুন।’
কাউকে অনুকরণ করে নয়, নিত্য নতুন উদ্ভাবনের মধ্য দিয়েই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে নিজেদের আত্মপরিচয় তুলে ধরবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। দেশের তরুণ প্রজন্ম এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
জয় বলেন, ‘আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশই তরুণ। এই তরুণ জনগোষ্ঠীই আমাদের সম্পদ। তরুণদের প্রশিক্ষিত করে আমরা যদি তথ্য-প্রযুক্তি খাতে কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমরা খুব দ্রুতই তথ্য-প্রযুক্তির বিশ্ববাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্জন করতে পারব।
‘বাংলাদেশ সরকার আইসিটি খাতে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর মাধ্যমে খুব দ্রুতই দেশে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।’
তথ্য-প্রযুক্তিকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে আওয়ামী লীগ সরকার ডিজিটাল হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করেছে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দেশে হাই-টেক পার্ক করেছি। ডিজিটাল প্লাটফর্ম ও ইন্টারনেট অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে আমরা নানা ধরনের সেবা প্রাপ্তির সুযোগ তৈরি করেছি।
‘নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে আমরা স্বল্পমূল্যে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির ব্যবস্থা করেছি। এর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের অগ্রযাত্রা বজায় থাকবে।’
উদ্ভাবনের উপর গুরুত্ব দিয়ে জয় বলেন, ‘আপনারা আপনাদের নিজস্ব উদ্ভাবন এবং ভিশন ঠিক করুন, নিজস্ব ধারণা অনুসন্ধান করুন, নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করুন, কাউকে নকল বা অনুকরণ করবেন না, উদ্ভাবন করুন।’
নির্দিষ্ট শহরমুখী উন্নয়ন নয় বরং তথ্যপ্রযুক্তিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী পুত্র। বলেন, ‘সারা দেশে এতদিন দেশের সব উন্নয়ন ছিল ঢাকা-চট্টগ্রামকেন্দ্রিক। আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য ছিল, আইটি ইন্ডাস্ট্রি ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। সেই লক্ষ্য থেকে ২০টি ডিজিটাল হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে সারা দেশে।
‘সরকার সারা দেশে ফাইবার অপটিক ক্যাবল ছড়িয়ে দিচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে এই ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সংযোগ বিস্তৃত করা হয়। এখন স্থানীয় সরকারের ক্ষুদ্রতম ইউনিট ইউনিয়ন পর্যায়েও তা ছড়িয়ে যাচ্ছে।’