২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

লকডাউনে গ্রেপ্তার, জরিমানা; ব্যস্ত নিম্ন আদালত

Advertisement

ঢাকার নিম্ন আদালত চলমান লকডাউনের আওতায় সীমিত আকারে চলছে। এরপরও আদালত প্রাঙ্গণ আশানুরূপ খালি নয়। আদালত প্রাঙ্গণে ঠাঁই মিলছে না লকডাউনে আইন না মানায় গ্রেপ্তার আসামি ও তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে আসা স্বজনদের। প্রতিদিনই এ সংখ্যা বাড়ছে ।

 গ্রেপ্তারকৃতদের সবারই দাবি অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের। তবে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে আইন না মানায় গ্রেপ্তারের আওতায় আনা হয়েছে অভিযুক্তদের।

ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট প্রাঙ্গণ আসামিদের গাড়িতে ভরপুর । অপরাধ একটাই, কেউই মাস্ক পরেননি। কারও মাস্ক ছিলো থুতনির নিচে। কেউ আবার কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধরা পড়ে পুলিশের হাতে।

লকডাউন শুরুর পর থেকে, যারা অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়েছেন তাদের গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ এর ৬৯, ৭৭, ৭৮ এবং ১০০ ধারার অধীনে। প্রতিদিন এমন প্রায় ৫০০ জনকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়।

এদিকে গ্রেপ্তারকৃত একজন আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে আদালতে আসছেন তিনজন। আদালতের ধার্য্যকৃত জরিমানা দিতে না পারলে তাদের পাঠানো হচ্ছে জেল হাজতে।

তবে গ্রেপ্তারকৃতদের সিংহভাগই নিম্নবিত্ত আয়ের মানুষ। করোনাকালে কাজের সন্ধানে বেরিয়েছেন এমন অনেককেই দেখা গেছে।

কঠোর লকডাউনে আদালত প্রাঙ্গণে যথেষ্ট পরিমাণ আইনজীবী না থাকায় গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্তরা আরও বেশি বিপাকে পড়ছেন। এ পর্যায়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য এবিএম জোবায়ের বলেন, “করোনার কারণে দেশে জনগোষ্ঠীর একটা উল্লেখযোগ্য অংশ জীবিকা হারিয়ে এরই মধ্যে দুর্দশায় রয়েছে। লকডাউনের কারণে শ্রমজীবী মানুষরা কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন। সরকারের উচিত এ জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত জরুরি খাদ্য ও নগদ ত্রাণ নিশ্চিত করা, যাতে করে জীবিকার তাগিদে তাদের ঘর থেকে বের হতে না হয়।“

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement