৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, মঙ্গলবার

রাজধানীর বাজারে ঢিলেঢালা স্বাস্থ্যবিধি

Advertisement

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউন’। এ সময়ে বন্ধ রাখা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস।

সড়কে অপ্রয়োজনীয় চলাচল ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে রাজধানীর বাজারের চিত্রটা উল্টো।

 শুক্রবার দিন মানেই বাজারে ভিড় জমে। এর ব্যতিক্রম হয়নি দেশব্যাপী চলমান ‘কঠোর লকডাউনে’র প্রথম শুক্রবারেও (২ জুলাই)। বৃষ্টির কারণে সকালের দিকে কিছুটা ভিড় কম থাকলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বেড়েছে রাজধানীর বাজারগুলোতে।

সকালে রাজধানীর ধূপখোলা কাঁচাবাজার, সূত্রাপুর বাজার, দয়াগঞ্জ বাজার ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক দিনের মতোই ক্রেতাদের চলাচল ছিল। ‘কঠোর লকডাউনে’র বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। যার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠন, বাজার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনকে। তবে রাজধানীর সূত্রাপুর কাঁচাবাজার, দয়াগঞ্জ বাজার ও সেগুনবাগিচা বাজার আগের নির্ধারিত স্থানেই খোলা রয়েছে। বিক্রেতারা সেখানে পাশাপাশি বসেই পণ্য বিক্রি করছেন।

সূত্রাপুর বাজারের মাছের বাজারটি বাজারের বাইরের রাস্তায় নিয়ে আসা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে সকালে ক্রেতা সমাগম কিছুটা কম ছিল। যারা এসেছেন তাদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যবিধি মানলেও বিক্রেতাদের মধ্যে ছিল অনীহা।

সূত্রাপুর কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রেতা আরিফ বলেন, ভাই, এই গরমের মধ্যে মাস্ক পরে থাকাটা কঠিন। সে সঙ্গে বারবার কাস্টমারের সঙ্গে কথা বলতে হয়। মাস্ক পরা থাকলে তারা দাম ঠিক মতো শুনতে পারেন না।

একই বাজারের মাছ বিক্রেতা সোহরাব বলেন, রাস্তায় বসে মাছ বিক্রি করছি। বৃষ্টি হচ্ছে, এটা একটা বড় সমস্যা। তারপরও সরকার নিয়ম করছে, তা মানতেছি।

একই চিত্র ছিল ধূপখোলা বাজারেও। বাজারটি স্থানান্তর করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী ধূপখোলা মাঠে। সেখানেও বিক্রেতাদের মুখে মাস্কের দেখা মেলেনি। তবে ক্রেতাদের বেশিরভাগই মাস্ক পরে ছিলেন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement