৯ অক্টোবর, ২০২৪, বুধবার

ঈদের ছুটিতেও কিছু ‘বিধি-নিষেধ’: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

Advertisement

 করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে সরকার। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে এ বিধি-নিষেধ। তবে আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটিতে বিধি-নিষেধ থাকবে কি না, তা ১৪ দিনের বিধি-নিষেধ পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে। তবে ‘কিছু বিধি-নিষেধ অবশ্যই থাকবে’ বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সোমবার তিনি বলেন, ‘ঈদের আগেও চলমান বিধি-নিষেধ থাকবে কি না, সেটা পরিস্থিতি বলে দেবে। চলমান ১৪ দিনের বিধি-নিষেধ পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে। তবে কিছু বিধি-নিষেধ অবশ্যই থাকবে। কারণ, গত ঈদের সময় বাড়ি যাওয়ার কারণেই সংক্রমণ বেড়েছিলো। এবার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হতে পারে-যে, যেখানে আছেন, সেখানে যেন ঈদ করেন।’ কোরবানির পশুর হাটের ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এবার ডিজিটাল কোরবানির হাটের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। মানুষ যাতে সেখানে কেনাকাটা করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। দাম ও ওজনের সমন্বয় থাকবে। আর যদি সশরীর হাট করতে হয়, তাহলে সেগুলো খুবই নিয়ন্ত্রিত হবে। প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ আলাদা থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। নির্দিষ্টসংখ্যক মানুষের বাইরে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। সবাইকে সংযতভাবে ও সুপরিকল্পিতভাবে কোরবানির হাট করতে হবে।’ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। করোনার ভারতীয় ধরনের প্রভাবে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে লকডাউন ও বিধি-নিষেধ জারি করে জেলা প্রশাসন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ও করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারা দেশে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ দেয়া হয়। প্রথমে সাত দিনের বিধি-নিষেধ দেয়া হলেও তা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরামর্শ দেয় করোনা-সংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সে অনুযায়ী সোমবার তা বাড়ানো হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement