দেশে চলমান সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউনের পঞ্চম দিন চলছে। আজ (সোমবার) সড়কে মানুষ ও যানবাহনের পাশাপাশি রিকশার উপস্থিতি বেড়েছে। সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও বেশ কিছু অফিস খোলা রয়েছে, আর মূলত সেইসব অফিসগামীদের কারণেই সড়কে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।
রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, গুলশান, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড,প্রগতি সরণি এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, আগের চারদিনের তুলনায় সড়কে মানুষ, রিকশা, যানবহন অনেক বেড়েছে। শুধু চলছে না গণপরিবহন। এছাড়া সব কিছুই চলছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম।
বসুন্ধরা গেইট থেকে গুলিস্তান যাওয়ার জন্য সড়কে অপেক্ষা করছিলেন শফিকুল ইসললাম নামে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, গত তিন দিনের তুলনায় আজ মানুষ, যানবাহন, রিকশার সংখ্যা সড়কে অনেক বেশি। প্রথম তিনদিন ভালোভাবে লকডাউন পালিত হয়েছে, কিন্তু গতকাল থেকে এই সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। আজ থেকে যেহেতু ব্যাংক খুলেছে তাই মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। এছাড়া আমাদের মতো জরুরি সেবা প্রদানের অফিসগুলো খোলা আছে আগে থেকেই। এসব অফিসগামী মানুষরা সকাল সকাল সড়কে ভিড় করেছেন।
রামপুরা ব্রিজে হাতিরঝিল পয়েন্টে অপেক্ষা করছিলেন আরেকজন বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল আহাদ। তিনি বলেন, বিগত চার দিনের তুলনায় আজ মানুষের, যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। লকডাউনে মানুষ আর কয়দিন ঘরে থাকবে। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের লকডাউন ভালোভাবে পালিত হচ্ছে। এটা বলতে হবে এবারের লকডাউনে অন্য যেকোনবারের চেয়ে তুলনামূলক অনেক কম মানুষ বাইরে বের হয়েছে। এই জনবহুল শহরে এটাও কিন্তু কম পাওয়া না। যেহেতু গণপরিবহন বন্ধ, আর সব অফিসের নিজস্ব পরিবহনও নেই, তাই মানুষের খুব ভোগান্তিও হচ্ছে। একমাত্র রিকশা ছাড়া অন্য কিছু নেই গণপরিবহন হিসেবে। তবে কর্মজীবী, শ্রমজীবী মানুষ কয়দিন ঘরে বন্দি থাকবে? খাবারের জন্য, জীবিকার জন্য তাদের তো বের হতে হবেই। দিন যত যাচ্ছে সড়কে মানুষ, যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে।
একজন রিকশাচালকের চোখে আজকের লকডাউন কেমন চলছে- জানতে চাইলে নতুন বাজার এলাকায় রিকশাচালক আব্বাস মিয়া বলেন, আজ মানুষ যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যাও। ট্রিপ না পাওয়ায় রিকশাও কম চলতো এই কয়দিন। কিন্তু গতকাল ও আজ সড়কে রিকশা অনেক বেড়েছে।