প্রথমে শনিবার রাত পৌনে বারোটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ১০ লাখ ডোজ এবং পরে রাত তিনটায় আরেকটি ফ্লাইটে ১০ লাখ ডোজ টিকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসিঅ্যান্ডএইচ) ডা. মো. শামসুল হক বলেন, “দুটি ফ্লাইটে ২০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। সব মিলিয়ে চীন থেকে সিনোফার্মের ৫১ লাখ ডোজ টিকা এল।”
চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে চুক্তি হয়েছে উভয় দেশের মধ্যে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে টিকা গ্রহণ করেন।
গত ৩ জুলাই রাতে সিনোফার্মের টিকার ১০ লাখ এবং পরদিন সকালে আরও ১০ লাখ ডোজ আসে।
ওই চালান আসার সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল এগুলো ‘কেনা টিকার অংশ’।
তবে ১৪ জুলাই সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, ওই ২০ লাখ ডোজও চীন উপহার হিসেবে দিয়েছে।
“আগে চুক্তি হয়েছিল ১৫ মিলিয়নের। এর মধ্যে ২ মিলিয়ন যেগুলো দিয়েছে সেগুলো উপহার হিসাবে দিয়েছে। এখন যেহেতু দুই মিলিয়ন উপহার দিয়েছে, তাই আরও দুই মিলিয়ন যোগ করে আবার ১৫ মিলিয়ন দিচ্ছে। সেটা হবে আগের মূল্যের চেয়ে হ্রাসকৃত মূল্য,” বলেছিলেন তিনি।
চুক্তি হওয়ার আগেও দুদফায় উপহার হিসেবে চীন থেকে একই টিকার ১১ লাখ ডোজ পেয়েছে বাংলাদেশ।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা কেনার পর সিনোফার্ম হল দ্বিতীয় কোম্পানি, যাদের কাছ থেকে কোভিড টিকা কিনছে বাংলাদেশ।